ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে ভুয়া তথ্য দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার ঘটনা আলোড়ন তুলেছে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ও মার্ক জুকারবার্গের নামে ব্যবসা করার লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে!
সম্প্রতি ডিএনসিসি ট্রেড লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করায়, যাচাই-বাছাই ছাড়াই অনেকে ভুয়া পরিচয়পত্র ও ঠিকানা ব্যবহার করে লাইসেন্স সংগ্রহ করছেন। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে ইস্যু হওয়া একটি লাইসেন্সে আফতাবনগর ঠিকানা দেওয়া হলেও বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্রে তেজগাঁও এলাকার নাম উল্লেখ ছিল। এমনকি পরিচয়পত্র ও ফোন নম্বর ভুয়া, আর পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে এক চীনা নাগরিকের!
শুধু ট্রাম্পই নন, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ ও ইলন মাস্কের নামে রেস্টুরেন্ট ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে। ভুয়া তথ্য জমা দেওয়া হলেও ডিএনসিসি তা যাচাই ছাড়াই অনুমোদন দিয়েছে।
একটি ঘটনা আরও বিস্ময়কর। মো. নুরুজ্জামান নামে একজন আইসক্রিম কারখানার লাইসেন্স নিয়েছেন আবাসিক ভবনে। সাংবাদিকরা গেলে সেই ঠিকানায় প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাননি। ফোনে নুরুজ্জামান জানান, তিনি ডিএনসিসির এক সামছু নামের ব্যক্তিকে ১০,০০০ টাকা দিয়েছেন, যদিও লাইসেন্স ফি ছিল মাত্র ৪,২৬৬ টাকা।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, সেবা সহজ করতে প্রক্রিয়া সরল করা হয়েছে। তবে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ লাইসেন্সের ক্ষেত্রে তদন্ত হয়। কিন্তু নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলছেন, যাচাই ছাড়া লাইসেন্স দেওয়া নগর ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।
ট্রেড লাইসেন্সের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, ঠিকানার প্রমাণ, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ ছাড়পত্র দরকার। কিন্তু যাচাই ছাড়া লাইসেন্স ইস্যু হওয়ায় ১০ গুণ বেশি লাইসেন্স ইস্যু হচ্ছে।